ঠোঙ্গা সাহিত্য
একে আপনারা বলতে পারেন ঠোঙ্গা সাহিত্য। কারন আমি এই লেখাটা ঠোঙ্গা হতে পেয়েছি। আমি মাঝে মধ্যেই বাসায় ঠোঙ্গা আসলে ঘেটে দেখি । কাল হঠাট একটা ঠোঙ্গা থেকে এই জিনিস পেলাম। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে ঠোঙ্গাটা ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ম্যাগাজিন এর কাগজ দিয়ে তৈরি। ম্যাগাজিনটা আমার কাছে আছেও। কিন্তু আগে কখনো পড়িনাই। নিচে লেখাটা দিলাম।
অতঃপর হতাশা
খ, ম, সারোয়ার
-আ-আপনি কে?
-ইস………খুব কঠিন প্রশ্ন উওর দিতে পারবনা। মনে কর কেউ না।
-কি জন্যে এসেছেন?
-কথা বলতে।
-বলুন।Tell me!
-কিসে পড়?
-ক্লাস টেনে।
-বাংলা না ইংলিশ মিডিয়ামে?
-আরে, শিট। বাংলা মিডিয়ামে প্রেস্টিজ থাকে নাকি! ইংলিশ মিডিয়ামে।
-ও আচ্ছা! আচ্ছা জান, বাংলা ভাষা কিভাবে এলো?
-কি ভাবে আবার ! Like any other language.
-জানো না কিভাবে অর্জিত হল ভাষা?
-কেন, কি ভাবে আবার?
কয়েকজনের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ ভাষা। অন্য কোন ভাষায় কথা বলতে রক্ত দিতে হয়নি। বাংলা ভাষার জনৌ রক্ত দিতে হয়েছিল। শুধু রক্তই নয়, দুঃখ্যের অতল সাগরে ভেসেছে স্বজনহারানো পরিবার। সারা বিশ্ব সেদিন স্তম্ভিত হয়েছিল। সেদিন ছিল ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সাল।
-ও, হ্যা! হ্যা! মনে পড়েছে।
-একটি ভুল ছিল ধরতে পারনি। ৭১ নয় ১৯৫২ সাল।
-ও হ্যা তাই তো? সেদিন কয়েকজন die out হয়েছিল পুলিশের গুলিতে। মিছিল –ফিছিল করছিল এ জন্য হয়তো।
তাও ভাল। কিছুটাতো জানো। যাই হোক, ঐদিন কি করবে?
-কি বল্লেন ? কোন দিন?
-পরশু ২১ তারিখ কি করবে?
-ঘুরব। I will go শহীদ মিনার with someone , ফুলটুল দেব, আর কি!
-কাকে নিয়ে যাবে?
-বলা যাবেনা, secret.
-কি জন্য ফুল দেবে?
বল্লাম না, কয়েকজন মরেছিল ঐ জন্যে। আসলে ফুলটুল দেয়া matter না, Matter is that ওকে নিয়ে ঘোরা।
-বুঝলাম
-কি বুঝলেন?
-বুঝলাম, সূর্যের কলঙ্কগুলো বাড়ছে। লাইটের কৃত্রিম আলো বঞ্চিত করছে আমাদেরকে জ্যোছনা থেকে। আরো বুঝলাম……. থাক বলবনা।
-আচ্ছা, বলুন তো, who are you?
-আবারো খুব কঠিনপ্রশ্ন। মনে করে, কেউ না। I am nobody but someone inside of you.